জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলা ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন থেকে স্থলবন্দরের উন্নতি করার তিন মাস পার হলেও জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। আগে বন্দরটি দিয়ে শুধু পাথর আমদানি হলেও গত পাঁচ মাস যাবত ব্যবসায়ীদের সাথে রাজস্ব কর্মকর্তাদের দণ্ডের কারণে বন্ধ আমদানি কার্যক্রম। এতে বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক। ২০২৩ সালে নভেম্বর জামালপুরের ধানুয়া কামালপুরের শুল্ক স্টেশন টিকে স্থলবন্দরে উন্নীত করে উদ্বোধন করা হয়। স্থলবন্দর হাওয়ায় নির্মাণ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় স্থাপনা।
ভারত থেকে ৩০ টি পণ্য আমদানির অনুমোদন থাকলেও এত দিন শুধু পাথর আমদানি করা হতো। তবে গত পাঁচ মাস ধরে বন্ধ সব ধরনের আমদানি। আমদানিকারক জানাই, আমদানিকৃত পণ্যের প্রতিটি ট্রাকে ২ থেকে ৩ টন মাটি আসে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ওয়েব্রিজ তৈরি করায় সেই মাটিরও ট্যাক্স দিতে হয়। এতে প্রতি ট্রাকে অতিরিক্ত ২৪০০ টাকা বেশি রাজস্ব দিতে হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পরিদর্শন জানান কি কারনে আমদানি বন্ধ তা তিনি জানেন না।
আমদানি বন্ধ থাকায় পাথর শিল্পের সাথে জড়িত বেকার প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক। তবে জটিলতা নিরাসন করে বন্দরটি চালুর উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস জামালপুর জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসক (মশিউর রহমান) বলেন,আমরা বিষয় টি নিয়ে উদ্যোগ নিবো স্থল বন্দরটি সবসময় যেন কার্যক্রম চালাতে পারে। প্রয়োজনে আমরা রাজস্ব বিভাগের সাথে এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করবো। ২০২১,২০২২ ও ২০২২,২০২৩ অর্থবছরে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন। রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় 12 কোটি টাকা।